আঙুল ফোটানো যেন অনেকেরই নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আঙুল ফোটালে এক ধরনের আওয়াজ হয় এবং এটা অনেকের কাছে হয়তো ভালোও লাগে। কিন্তু আঙুল ফোটানোর স্বাস্থ্যগত কোনো উপকার তো নেই-ই, বরং অনেক ক্ষেত্রে তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

যখন আঙুল ফোটানো হয় বা টানা হয়, তখন দুই হাড়ের মাঝে কিছু ফাঁকা জায়গা বের হয়। এতে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং সেখানে হাড়ের মজ্জা ঢুকে যায়। হঠাৎ করে এভাবে তরল ঢোকার ফলে সেখানে শব্দ সৃষ্টি হয়।

ক্ষতি যা হতে পারে

  • – আঙুলে যে চারটি জয়েন্ট থাকে সেগুলো আঙুলকে নড়াচড়া করতে সাহায্য করে। যখন প্রয়োজনের অতিরিক্ত আঙুল ফোটানো হয় তখন অস্থিসন্ধির অভ্যন্তরীণ আর্টিকুলার কার্টিলেজের ক্ষয় বাড়তে থাকে।
  • – এই বদ-অভ্যাস আঙুলকে অস্থিসন্ধিগুলোর ক্ষয়জনিত বাত রোগ অষ্টিওআর্থ্রাইটিসের দিকে ঠেলে দেয়।
  • – আঙুলের জোড়াগুলো ফুলে যেতে পারে, ব্যথা হতে পারে।
  • – যারা আগে থেকেই অস্টিওআর্থ্রাইটিসে ভুগছেন, যাদের অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় রোগ আছে, হাড়ের ঘনত্ব কমে গেছে যাদের, তারা আঙুল ফোটালে ফ্রাকচার হতে পারে বা আঙুলের হাড় ভেঙে যেতে পারে।

 

পরামর্শ

  • – বিনা প্রয়োজনে আঙুল ফোটানো থেকে বিরত থাকুন।
  • – হাড় মজবুত রাখতে প্রচুর পরিমণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করুন।
  • – আঙুলের ব্যথা কমানোর জন্য হাইড্রোথেরাপি ও প্যারাফিন ওয়াক্স বাথ থেরাপি ও আঙুলের মুভমেন্ট ঠিক রাখার জন্য মোবিলাইজেশন ও ম্যানুপুলেশন থেরাপি চিকিৎসা নিন।

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. এম. ইয়াছিন আলী

চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট

ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল

ধানমণ্ডি, ঢাকা।